প্রথমবারের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সকে সঙ্গে নিয়ে মহাকাশযাত্রা করল নাসা। বাণিজ্যিকভাবে এটাই প্রথম মহাকাশযাত্রা। স্পেস এক্সের এই অভিযাত্রাকে পুরোপুরি নিরাপদ বলছে নাসা। আর স্পেস এক্স বলছে, মহাকাশে উন্মোচন হলো পর্যটনের নতুন দিগন্ত। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাতে এলন মাস্কের রকেট কোম্পানি স্পেস এক্সের তৈরি ‘ক্রু ড্রাগন’ ক্যাপসুল নিয়ে উৎক্ষেপণ করা হয় ফ্যালকন রকেট। এতে ছিলেন চারজন অ্যাস্ট্রোনট বা নভোচারী। যাঁদের তিনজন নাসার নভোচারী—মিশেল হপকিন্স, ভিক্টর গ্লোভার ও সেনন ওয়াকার। এ ছাড়া ছিলেন জাপানি নভোচারী সৌচি নোগোচি।
স্পেস এক্সের রকেট উড্ডয়নের মুহূর্তটি উপভোগ করেছেন অনেক পর্যটক। তেমনই এক পর্যটকের ভাষায়, ‘অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা হলো। এমনটা দেখে পুলকিত হয়েছি। আবারও মহাকাশে মানুষের পদচারণা হবে, এই অর্জনটাও অবিশ্বাস্য।’
স্পেস এক্স বলছে, ২৭ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় সফরের পর পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছাবে ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলটি। তারপর তা পৌঁছাবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। সেখানে ছয় মাস থাকার সুযোগ পাবেন চার নভোচারী।
নভোচারীদের অবস্থান করা ড্রাগন ক্যাপসুলের তাপমাত্রা থাকবে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উড্ডয়নের চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পরও ক্যাপসুলের তাপমাত্রা স্থিতিশীল রয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া জিরো গ্র্যাভিটি বা শূন্য অভিকর্ষে নভোচারীদের পুতুলের মতো লাগছিল।
বলা হচ্ছে, এই চার নভোচারী পর্যটক। কেননা, বাণিজ্যিকভাবে এই নভোচারীরা এলন মাস্কের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান থেকে মহাকাশ যাত্রা করেছেন। এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাটি থেকে এটিই প্রথম বাণিজ্যিক উদ্যোগে মহাকাশ যাত্রা।
স্পেস এক্স বলছে, ২০২১ সালের মার্চে বাণিজ্যিকভাবে তারা আরেকটি মহাকাশযান পাঠাবে। স্পেস এক্সের এই উদ্যোগে মহাকাশে পর্যটনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হলো।
© All rights reserved © 2020 bd-bangla24.com