বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আর নেই। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ০৬ মিনিটে সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন)।
এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ তার পিতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
কোয়েল আহমেদ বলেন, ‘আব্বা আর নেই। শুক্রবার বিকেলে আব্বাকে বাসায় নিয়ে আসছিলাম। উনি হাসপাতালে থাকতে চাইছিলেন না। তাই বাসায় নিয়ে আসছিলাম। আমি রাত ২টা ৩০ মিনিটে আব্বার বাসায় আসছি। ’ পরদিন শুক্রবার সকালেই তিনি পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।
বাবার আত্মার শান্তির জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন কোয়েল।
এর আগে গত বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এটিএম শামসুজ্জামানকে। তার অক্সিজেন লেভেল কমে গিয়েছিল। হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা।
১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে এটিএম শামসুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-জলছবি, জীবন তৃষ্ণা, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, যে আগুনে পুড়ি, মাটির ঘর, মাটির কসম, চিৎকার ও লাল কাজল ইত্যাদি।
তবে ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের সিনেমায় অভিষেক ঘটে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। এখন পর্যন্ত পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তি। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।
© All rights reserved © 2020 bd-bangla24.com